ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ঝর্ণা থেকে পড়ে প্রাক্তন বুয়েটের শিক্ষার্থী সোহরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১৪ ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। পাশ করার পর বুয়েটেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের রিসার্চ এসিসট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ ১৫ জুলাই মেঘালয়ের কোন একটি ঝর্ণায় বেড়াতে গেলে সেখানে পা পিছলে ঝর্ণা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

এরপর তাকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের উডল্যান্ড হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোহরাত সাইক্লিং ও ট্রেকিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এর আগেও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সফলভাবে ট্রেকিং করেছিলেন। বন্ধুমহলে সেরা ট্রেকার হিসেবে বিবেচিত ছিলেন তিনি। শান্ত ও ধীর প্রকৃতির ট্রেকার বলেই জানেন তাকে সবাই।

এদিকে একই দিনেই বুয়েটের ২০১৪ সালের আর্কিটেকচারের ছাত্র তারেকুজ্জামান সানি (২৬) এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত রাতে মৈনট ঘাটের একটি কার্গো থেকে পা পিছলে পড়ে নিঁখোজ ছিলেন সানি। রাতে প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব হয়নি, পরবর্তীতে সকালে তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।
এক দিনে দুজন ব্যাচমেটের অপমৃত্যু মেনে নিতে পারছেননা বুয়েটের ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাদের অনেকেই শোক প্রকাশ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সোহরাতের লাশ সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ১৬ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে তামাবিল সীমান্তে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে হস্তান্তর করেন ভারতের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এ সময় সোহরাতের পিতা ও বোন উপস্থিত ছিলেন। লাশ হস্তান্তরের পর পরই তারা ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন।
ফিচার ছবি ভ্রমণগুরু