আমি দু’পয়সা আয় করা মানুষ৷ মাস শেষে যা আসে তার বেশিরভাগই পরিবারের খরচের খাতায় চলে যায়। একটু একটু করে জমিয়ে হাতে কিছু পয়সা হলেই ঘুরতে বেরিয়ে যাই৷ এইতো ফেব্রুয়ারিতে গেলাম পরিবারের একাংশ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে।
আমি কোথাও ঘুরতে গেলে চেষ্টা করি স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে যত কম খরচে পারি হোটেল নিতে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হল না। সেন্ট মার্টিন জেটিতে জাহাজ ভিড়তেই সুর সুর করে নেমে গেলাম। জেটির কাছের রিসোর্টে ভাড়া অত্যাধিক।
অগত্যা দক্ষিণ দিকের রাস্তা ধরে হাটতে থাকলাম। নেভি ক্যাম্প পেরিয়ে চোখে পড়ল রত্নদ্বীপ রিসোর্টের সাইনবোর্ড। ভিতরে ঢুকে ডাবল বেডের রুম দেখলাম। ভাড়া চাইল ১০০০ টাকা৷ এত কম দেখে আমি নিজেই বিস্মিত। তারপরও দামাদামি করা যেহেতু আমার অভ্যাস তাই ৭০০ টাকা বললাম। একটু গাইগুই করে রাজি হয়ে গেল। রুমে ব্যাগ রেখে চলে গেলাম বিচে৷
রিসোর্টের লোকেশন বেশ চমৎকার। ঝাউ গাছ বেষ্টিত নিরিবিলি জায়গায় অবস্থিত৷ নেই কোন কোলাহল। রিসোর্টের বারান্দায় বসেই দেখতে পাবেন সমুদ্র। আরও কাছ থেকে সমুদ্রের নীল জলরাশি দেখতে চাইলে মাত্র ১ মিনিট হেটেই পূর্ব বিচে পৌঁছে যাবেন।
পূর্ব বিচের ঢেউ ভাল না লাগলে মসজিদের রাস্তা ধরে ৫ মিনিট হাটলেই পশ্চিম বিচের উত্তাল সাগর দেখতে পাবেন। যারা কোলহলমুক্ত নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করেন তাদের জন্য চমৎকার একটি রিসোর্ট। রিসোর্টের সামনে বিশাল ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেই ফাঁকা জায়গায় আগামী সপ্তাহেই ক্যাম্পিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাবুতে শুয়ে শুনতে পাবেন সাগরের গর্জন।
ঘুরে আসার পর মালিকপক্ষ আমার কাছে ফিডব্যাক চেয়েছিল। আমি স্পষ্টতই বলে দিয়েছিলাম এই ম্যানেজার দিয়ে চলবে না। সাথে আরও কিছু সুপারিশ করেছিলাম। আশার কথা হল তারা আমার অধিকাংশ সুপারিশই বাস্তবায়ন করেছে। অন্যান্য রিসোর্টের তুলনায় ভাড়া বেশ সহনশীল। ৬ জন থাকা যাবে এমন রুম ভাড়া ৩০০০। ৪ জনের কাঠের রুম মিলবে ১৮০০ টাকায়। কাপলরা রুম পাবেন ১৫০০ টাকায়।
তবে ফোন করে ভ্রমণগুরুর রেফারেন্স দিলেই ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০% ডিসকাউন্ট পাবেন। ছুটির দিনগুলোতে থাকবে ২০% ডিসকাউন্ট আর বাকি দিনগুলোয় পাবেন ৪০% ডিসকাউন্ট।
বুকিং এর জন্য কল করুন 01818-061005
বিঃদ্রঃ ডিসকাউন্টের জন্য অবশ্যই ভ্রমণগুরুর রেফারেন্স দিতে হবে।
ধন্যবাদ। এমন দারুনসব অফার ভবিষ্যতেও আশা করছি।
Thank you!!1